এমবাপে , গ্রিজম্যানকে থামাতে নতুন যে কৌশলে ক্রোয়েশিয়ার কোচ

১৯৯১-তে স্বাধীনতা পাওয়া বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে এসেই সেমিফাইনালে খেলেছিল ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে। ক্রোয়েশিয়ার সামনে ২০ বছর পর এবার বড় সুযোগ। বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা। ফ্রান্সকে হারাতে পারলেই বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখানো যাবে। ম্যাচটা যে ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসে কত বড় এক ঘটনা সেটি না বললেও চলে। রাকিটিচ-মদ্রিচরা সব বাধা পেরিয়ে এবার জায়গা করে নিয়েছেন ফাইনালের আসরে। বিশ্বের সেরা সব খেলোয়াড়দের টপকে ক্রোয়েশিয়াকে পৌঁছাতে হয়েছে ফাইনালের মঞ্চে। বিশ্বের সেরা তারকা লিওনেল মেসি ও টুর্নামেন্টের এখন পর্যন্ত সেরা গোলদাতা হ্যারি কেনকে যেভাবে আটকে রেখেছিল ক্রোয়েশিয়া, কোচ জ্লাতকো দালিচ প্রত্যাশা করেন ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল ম্যাচেও ফ্রান্স দলের অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান ও কিলিয়ান এমবাপেকে আটকে রেখে শিরোপা দখল করবে।

গ্রুপ পর্বে তার প্রমাণও দিয়েছিল আর্জেন্টিনার মতো দলকে তিন গোলে হারিয়ে। সব বাধা পেরিয়ে এবার রাকিটিচ-মদ্রিচরা জায়গা করে নিয়েছেন ফাইনালের আসরে। কোচ প্রত্যাশা করেন ছেলেরা এবার শিরোপা জয় করেই ঘরে ফিরবে। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে পাত্তাই দেয়নি ক্রোয়েশিয়া। দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে আটকে রেখে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিল তাঁরা। অন্যদিকে, সেমিফাইনালের মঞ্চে ইংল্যান্ডের সেরা তারকা হ্যারি কেনকে আটকে রেখে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েটরা।

কোচ দালিচ একই কাজের পুনরাবৃত্তি করতে চান। ৫১ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘ফ্রান্স খুবই শক্তিশালী, প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কেরও বটে! কিন্তু আমরা যথেষ্ট ভালো খেলছি। আমরা যেভাবে মেসি, হ্যারি কেনকে থামিয়েছি, আশা করছি গ্রিজম্যান, এমবাপেকেও থামাতে পারব।’